এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস যদি আজ সব জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) ওয়াশিংটনের সিয়াটলে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরাইলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে বুধবার এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন জানিয়েছেন, রাফায় হামলা চালাতে তার দেশ ইসরাইল অস্ত্র দেবে না। ওই সময় তিনি বলেন, ‘যদি তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) রাফায় যায়, তবে আমি তাদের অস্ত্র সরবরাহ করছি না।’
তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি পুরোপুরি ইসরাইলের ওপর নির্ভার করছে বলে মনে করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার (১০ মে) হামাসের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠনের কাছে হামাসের পাঠানো বার্তায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ইসরাইলি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্দেশে এক বার্তায় হামাস লিখেছে, মধ্যস্থতাকারীদের দেয়া প্রস্তাব দখলদার ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রস্তাবে উল্লিখিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ইসরাইল আপত্তি জানিয়েছে। ফলে বল এখন পুরোপুরি ইসরাইলের হাতে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।
হামাসের সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের মত মানুষ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযানে বদ্ধ পরিকর ইসরাইলি বাহিনী। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে পূর্ব রাফা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। আল মাওয়াসি নামক এলাকায় তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।